শিশু-কিশোরের বুদ্ধি-মেধার সুষ্ঠু বিকাশ ও শিক্ষা ও জ্ঞানার্জনর অগ্রগতিতে মা-বাবা, শিক্ষকের করণীয়:
একজন শিশুর বেড়ে ওঠার জন্য তার মা-বাবা উভয়কেই সমান সচেতন হতে হবে। সন্তানের সুষ্ঠু মানসিক বিকাশের জন্য চাই বড়দের ভালবাসা ও মনোযোগ। এ ভালবাসা ও মনোযোগ কেবল গোপনে নয় সন্তানের সামনেও প্রকাশ করা প্রয়োজন। ছেলে-মেয়ের কাছে অবশ্যই পরিমিত আদর-ভালবাসা ও শাসন উভয়ই প্রকাশ করতে হবে, কোনটিই যেন মাত্রাতিরিক্ত হয়ে না যায়। মনে রাখা প্রয়োজন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা খেলার পুতুল নয়, আদরের পাখি নয়, পরীক্ষা-নিরীক্ষার কোন বস্তুও নয়। সে পরিবারের সুষ্ঠু সহযোগীতা ও সুন্দর ভালবাসার অধিকারী। অতিরিক্ত আদর প্রশ্রয় দিয়ে নয়, প্রয়োজনীয় ও পরিমিত আদর-যত্ন ও শাসন দিয়ে তাকে বড় করতে হবে। তাহলে বড় হয়ে সে যে কোন পরিস্থিতির সাথে সহজে মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে। জীবনের দু:খ কষ্টের কাছে হার মেনে নেবে না। সাহস করে সমস্যার সমাধানে দাঁড়াতে পারবে।
আপনার সন্তানের বয়স, বিকাশের পর্যায় ও বুদ্ধির পরিপক্কতা অনুসারে তাকে পরিচালনা করা অবশ্য প্রয়োজন। এই সম্পর্কে অভিভাবক ও শিক্ষকদের নিজ নিজ ভূমিকা সম্পর্কেও জানা প্রয়োজন।
মা-বাবার মধ্যে অনেক বিষয়ে মতের অমিল থাকতে পারে। অন্তত: সন্তান লালন-পালনের ক্ষেত্রে মা-বাবার দুজনের একমত হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নইলে সে অসামঞ্জস্যপূর্ণ আচরণ করতে পারে।
সন্তানের আচরণে কোনরূপ অসংগতি ধরা পড়লে দ্রুত সতর্ক হয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
পড়াশোনায় পিছিয়ে থাকা, অত্যন্ত দুষ্টু হওয়া, অতিরিক্ত শান্ত স্বভাব, আচরণ ও আবেগের দিক থেকে ভিন্ন প্রকৃতির হওয়া মানেই এই নয় যে, তার বুদ্ধি কম, সে ভাল না বা অস্বাভাবিক। এ অবস্থায় তাকে বারবার বোঝালে, মারধোর করলে বা জোর খাটালেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, এই ধারনা মোটেই ঠিক নয়। বরং স্থির হয়ে সমস্যা বোঝার চেষ্টা করুন। জোড়পূর্বক তাকে কোন কিছু শিখতে বাধ্য করা যাবে না। সম্ভব হলে তার পছন্দের বিষয়ে তাকে শেখার সুযোগ সৃষ্টি করে দিন।